৩১ ডিসেম্বর ২০২৩


স্বজাতি সাদা বকের কলরবে ‘মুখরিত’ কাটাখাল

গোয়াইনঘাট উপজেলার রুস্তমপুর ইউনিয়নের কাটাখাল থেকে ছবিটি ক্যামেরাবন্দি করেছেন আমাদের প্রতিনিধি সৈয়দ হেলাল আহমদ বাদশা।

শেয়ার করুন

সৈয়দ হেলাল আহমদ বাদশা, গোয়াইনঘাট থেকে : গোয়াইনঘাট উপজেলার হাওরের পানিতে এখন কেবলই ভাটার টান। জেগে ওঠছে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ।আমন ধান কাটা শেষ বোরো আবাদে চাষিদের ব্যস্ততা। এই সময়ে নীল আকাশের সাথে পাল্লা দিয়ে উড়াউড়ি করে সাদা বক। তবে এরা অতিথি পাখি নয় আমাদের স্বজাতিপাখি।

বছরের বারো মাস এখানে তাদের বিচরণ। তাদের কলরবে এখন মুখরিত হচ্ছে হাওরের বিস্তীর্ণ জনপদ গোয়াইনঘাট উপজেলার রুস্তমপুর ইউনিয়নের কাটাখাল নামক স্হান। ধ্যানমগ্ন ঋষির মতো দাঁড়িয়ে থাকা বক বা উড়ন্ত বক দেখে মনে পুলক লাগে। সন্ধ্যায় দলবেঁধে চারপাশ মুখরিত করে পাখিরা যখন ঘরে ফিরে যায়, সে এক দেখার মতো দৃশ্য।

সরেজমিনে শত শত পাখির এই মেলা এখন দেখা যায় হাওর উপজেলা বঙ্গবীর থেকে যাওয়ার পথে কাটাখাল এলাকায়। শীতের পুরোটা সময় এমন দৃশ্য হাওরপাড়ের মানুষদের অভিভূত করে রাখে।বাংলার অতি পরিচিত পাখি সাদা বক। প্রকৃতিতে শুভ্রতা ছড়ানো সাদা বক দলবেঁধে নিঃশব্দে চলে।

এদের দেখা মেলে খোলা মাঠে, খাল-বিল-নদী-ঝিলে। কখনও খাবারের খোঁজে ঘাপটি মেরে বসে থাকে পুকুপাড়ে। কোথাও আবার ঘন বাঁশবনে দলবেঁধে বসে থাকে। কখনও ঝাঁকে উড়ে চলা, কখনও দিগন্তবিস্তৃত মাঠের সবুজ গালিচার সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে সাদা বকের দল।কখনো গবাদিপশু ও মহিষের সাথে পাল্লা দিয়ে খাবার আহরণ করা।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়,বছরের বারো মাসই এখানে সাদা বকের বসবাস থাকে।শিকারিদের উৎপাত না থাকায় এই জায়গাটা তাদের জন্য নিরাপদ আবাসস্থল। স্হানীয়রাও পরিবেশের সৌন্দর্য ধরে রাখতে পাখিদের দেখভাল করে রাখেন।

নান্দনিক এই পাখিটি এখন অনেকটাই বিলুপ্তির পথে। জলবায়ু পরিবর্তন, কীটনাশক ব্যবহার, গাছপালা নিধন ও শিকারসহ নানা কারণে পাখিগুলো আগের মতো দেখা যায় না। বিশেষ করে অসাধু শিকারিদের দৌরাত্ম আর বনভূমি উজাড়ের কারণে সাদা বক যেন আমাদের জনবসতি থেকে অনেকটাই দূরে চলে গেছে।

শেয়ার করুন