১৬ অক্টোবর ২০২৩
নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজারের রামু উপজেলার বহুল আলোচিত-সমালোচিত মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ এখন সিলেটে। সিলেটে এসেও তার পিছু ছাড়ছে না অভিযোগ-বিতর্ক। সিলেটেও তার বিরুদ্ধে ঘুষগ্রহণ ও শিক্ষক-কর্মচারী হয়রানীর অভিযোগ ওঠেছে।
বর্তমানে তিনি সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পদে পদায়িত। কক্সবাজারের রামু থেকে বদলি হয়ে গত জুলাই মাস থেকে কানাইঘাটে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পদে পদায়িত হয়েছেন ।
রামুতে দায়িত্ব পালনকালে তার বিরুদ্ধে ঘুষগ্রহণ শিক্ষক-কর্চারী হয়রানির বিস্তর অভিযোগ মিডিয়াঙ্গনে ভাইরাল হয়। ফলে গত এসএসসি পরীক্ষার পরই তাকে সেখান থেকে বদলি করে সিলেটের কানাইঘাট উপজেরার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পদে পদায়িত করা হয়। কানাইঘাটে পদায়নের পরও তিনি আগের ন্যায় অনিয়ম ও ঘুষগ্রহণের অভ্যেস ত্যাগ করতে পারেননি বলে অভিযোগ ওঠেছে।
অভিযোগে প্রকাশ, পদায়নের পর থেকে তিনি উপজেলার বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষক কর্মচারীর কাছ থেকে এমপিওভুক্তি ও বেতন চালুর নামে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা করে ঘুষ গ্রহণ করে চলেছেন । ফলে উপজেলার স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্চারীগণ চরমভাবে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন।
সম্প্রতি কানাইঘাট উপজেলার সড়কের বাজার আহমদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার তিনজন কর্মচারী পৃথকভাবে তার বিরুদ্ধে ঘুষগ্রহণ ও হয়রানীর অভিযোগ করেন। এসব অভিযোগের ছায়ালিপি সংযুক্ত করে একই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আব্দুছ ছমি ১৫ অক্টোবর মহাপরিচালক মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকা বরাবরে পৃথক আরেকটি অভিযোগপত্র প্রেরণ করেন।
অভিযোগে তিনি কানাইঘাট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদের বেপরোয়া ঘুষবাণিজ্যসহ শিক্ষক-কর্মচারি য়রানীর বিস্তুর তথ্য তুলে ধরে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করেন।
অভিযোগের অনুলিপি মহাপরিচালক মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, সিলেটের জেলা প্রশাসক, উপপরিচালক মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সিলেট ও কানাইঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরেও প্রদান করেন।
কানাইঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখা অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
এ বিষয়ে কানাইঘাট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ সেলফোনে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের কথা স্বীকার করে বলেন, অভিযোগ দিলেই তা সত্য হয়ে যায় না। অভিযোগের তদন্ত হয় এবং তদন্তে সত্য-মিথ্যা প্রমানিত হয়ে থাকে।