৪ ডিসেম্বর ২০২১
ডেস্ক রিপোর্ট : সিলেটে দুশ্চিন্তায় সময় কাটাচ্ছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপের চেয়ে তৃতীয় ধাপে বিভাগজুড়ে আওয়ামী লীগের শোচনীয় পরাজয় হয়েছে। এমনকি প্রভাবশালী দুই মন্ত্রীর এলাকায়ও নৌকার ভরাডুবি হয়েছে। গত রোববারের ৭৭টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ হয়। এরমধ্যে ৪৬টিতে নৌকার শোচনীয় পরাজয় ঘটে। নৌকার ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জে আওয়ামী লীগের অবস্থা বেশি নাজুক। হবিগঞ্জের ২১ ইউনিয়নের মধ্যে মাত্র ৮টি ইউনিয়নে নির্বাচনি ফসল ঘরে তুলতে পেরেছে আওয়ামী লীগ।
পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের এলাকা সুনামগঞ্জ জেলা সদরের ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে সবকটিতেই নৌকার প্রার্থী পরাজিত হয়েছেন। মন্ত্রী নিজ গ্রামের বাড়ি শান্তিগঞ্জ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে মাত্র দুটি ইউনিয়নে নৌকা জয়লাভ করেছে। খোদ প্রভাবশালী মন্ত্রীর এলাকায় এমনটি হওয়ায় দলীয় নেতাকর্মীরা বিস্মিত।
এদিকে প্রবাসী ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদের এলাকা সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে মাত্র দুটি ইউনিয়নে নৌকা ও গোয়াইনঘাট উপজেলায় ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩টিতে নৌকার প্রার্থী জয়লাভ করেছেন।
তবে সিলেটের ১৬টি ইউনিয়নের মধ্যে দক্ষিণ সুরমার ৫ ইউনিয়নে চমক দেখিয়েছে আওয়ামী লীগ। ৪টি ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থীরা বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন। শুধু মোগলাবাজার ইউনিয়নে তৃণমূলে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ফখরুল ইসলাম সাইস্তা জয়লাভ করেন।
শান্তিগঞ্জ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ২টিতে নৌকা, ৩টিতে বিদ্রোহী ও ৩টিতে বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়লাভ করেছেন।
জৈন্তাপুর উপজেলায় জৈন্তাপুর ইউনিয়ন, চারিকাটা, দরবস্ত, ফতেপুর ও চিকনাগুল ইউনিয়ন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে মাত্র দুটিতে নৌকার প্রার্থী জয়লাভ করেন।
এই উপজেলার জৈন্তাপুর ইউনিয়নে স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রবাসী ও বৈদেশিককল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদের বাড়ি। মন্ত্রীর নিজ বাড়ির ইউনিয়নেও নৌকার ভরাডুবি হয়েছে।
মন্ত্রী ইমরান আহমদের নির্বাচনি এলাকা গোয়াইনঘাট উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩টি ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী জয়লাভ করে। অপর ৩টিতে গেছে অন্যের ঘরে।
আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের এমন ভরাডুবির কারণে নানা শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা এটিকে দলের বিপর্যয় মনে করছেন না। তাদের মতে, যোগ্য প্রার্থীদের মনোনয়ন না দেওয়ার কারণে এমনটি হয়েছে।
তারা বলেন, দলের পরীক্ষিত ও ত্যাগী কর্মীরা মৃত্যুবরণ করায় অনেক ইউনিয়নে প্রার্থী সংকট রয়েছে।বুক পেইজ