১৫ ডিসেম্বর ২০২৩


বিজয় উদযাপন হোক শুদ্ধতার মিছিলে

শেয়ার করুন

জুনায়েদ আহমদ : ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামের কথা আমাদের সবারই জানা। আমরা কেউ প্রত্যক্ষদর্শী, কেউ পরোক্ষদর্শী আবার কেউ ইতিহাসদর্শী।আমরা যারা তরুণ আছি তারা বিভিন্ন বইয়ের পাতায় পড়ে জেনেছি। সেই সময়কার সংগ্রামী যোদ্ধাদের নিকট হতেও জেনেছি। গৌরবময় ইতিহাসকে আমাদের হৃদয়ে ধারণ করেছি।

আমরা আজ স্বাধীনভাবে বাংলা ভাষায় কথা বলছি, কারো কোনো বাধা নেই। কিন্তু আজ থেকে ছয়দশক আগে ১৯৫২ সালে আমাদের পূর্বসূরীদের কাছ থেকে এ ভাষা কেড়ে নিতে চেয়েছিল তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের (যা বর্তমানে পাকিস্তান) ঘাতক গোষ্ঠী।

 


৭১ সালের ২৫ মার্চের রাতে অর্থাৎ ২৬ মার্চ রাতের প্রথম প্রহরে পাকিস্তানের সৈন্যরা আক্রমণ করে গণহত্যা চালিয়েছে আমাদের নিরস্ত্র, নিপীড়িত জনগণের উপর। বাংলার দামাল ছেলেরা মেনে নিতে পারেনি তাদের এই নির্মম অত্যাচার। তারাও পাকিস্তানী ঘাতক বাহিনীদের রুখতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। দেশকে স্বাধীন করার জন্য এদেশের ছাত্র, যুবক, কৃষক, শ্রমিক সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংগ্রাম করেছে।


প্রায় ত্রিশলক্ষ মানুষ তাদের রক্ত সিঞ্চন করে, দুইলক্ষ মা-বোনেরা নির্যাতিত হয়ে, দীর্ঘ নয়মাস যুদ্ধ করে ১৬ ডিসেম্বর আমাদের কাছে হার মানে পাকবাহিনী।তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে বিকাল ৪ টা ১৫ মিনিটে (বর্তমানে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) পাকিস্তানী সৈন্য প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল নিয়াজী ৯৩ হাজার সৈন্য নিয়ে তাদের সকলের পক্ষে আত্মসমর্পণ পত্রে সই করেন। এতে তারা পরাজয় বরণ করে, আমরা বিজয়ী হই। সেই সময় যারা যুদ্ধ করতে গিয়ে মারা গেছেন তাদেরকে আমরা শহীদ বলে থাকি, আজও আমরা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি সেই মহানদের। আল্লাহ তাদের জান্নাতবাসী করুন।

যেসকল গাজীরা সেই দিন (১৬ই ডিসেম্বর) এদেশের আকাশে লাল-বুজের বিজয় নিশান উড্ডীন করেছিলেন;তাদের প্রতিও বুকভরা শ্রদ্ধা।

আসুন! এবারের বিজয় দিবস উদযাপন হোক গান, নৃত্য ও অপসংস্কৃতি মুক্ত। শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা করি। নতুন প্রজন্মের নিকট আমাদের ইতিহাসের কথা তুলে ধরি। দেশের ক্রান্তিলগ্নে যারা জীবন বিসর্জন দিয়েছেন তাদের স্মরণে প্রতি শিক্ষাঙ্গণে, অফিস-আদালতে, পবিত্র কোরআনের খতমসহ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করি।

লেখক : শিক্ষার্থী,সিলেট সরকারি কলেজ

শেয়ার করুন